রহমত নিউজ 01 September, 2025 11:28 AM
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সম্প্রতি ‘কি মালয়েশিয়া’ (KEY MALAYSIA) নামের একটি ভুয়া ওয়েবসাইট শনাক্ত করেছে, যা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের অনুরূপভাবে সাজানো হয়েছিল। দেশটিতে বিদেশিদের ই-ভিসা আবেদনের নামে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল একটি সিন্ডিকেট।
জানা যায়, এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে প্রকৃত ফির তিনগুণ অর্থ আদায় করা হতো।
রোববার (৩১ আগস্ট) ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান এক বিবৃতিতে জানান, তদন্তে ৩২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি নারীকে গ্রেফতারের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ওই নারী সামাজিক ভ্রমণের ভিসায় মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করছিলেন এবং বিগত তিন বছর ধরে ঘন ঘন এ দেশে আসছিলেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, সিন্ডিকেটটি ২০২২ সাল থেকে সক্রিয় এবং এখন পর্যন্ত ৫২৬৭২টি ই-ভিসা আবেদন এই ভুয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জমা হয়েছে। প্রতিটি আবেদনের জন্য ৩০০ থেকে ৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত আদায় করা হয়েছে, যেখানে আসল ই-ভিসা ফির পরিমাণ অনেক কম।
ওয়েবসাইটটিতে দুটি আলাদা সেবা দেওয়া হতো, ‘নিয়মিত ভিসা’: অনুমোদন ৩ থেকে ৫ কার্যদিবসে এবং ‘জরুরি ভিসা’: অনুমোদনের প্রতিশ্রুতি ২ থেকে ৩ কার্যদিবসে।
তিনি বলেন, আবেদনকারীরা অর্থ দেওয়ার পর প্রায়শই ভুয়া বার্তা পেতেন যে তাদের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তীতে যারা ওয়েবসাইটের ‘লাইভ চ্যাট’ সেবার মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন, তাদের পাসপোর্ট কালো তালিকাভুক্ত করার হুমকিও দেওয়া হতো।
সন্দেহভাজন ওই বাংলাদেশি নারীকে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিধিমালা ১৯৬৩ এর ৩৯ (বি) ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী তদন্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার স্বামী, যিনি নিজেও বাংলাদেশি নাগরিক, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
দাতুক জাকারিয়া শাবান বলেন, এ ধরনের ভুয়া ওয়েবসাইট কেবল প্রতারণাই নয় বরং ইমিগ্রেশন বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এবং জনগণের আস্থা নষ্ট করে।
তিনি আরও জানান, নীতি অনুযায়ী ইমিগ্রেশন বিভাগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থান অব্যাহত রাখবে।